ববি হাজ্জাজের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে (এনডিএম) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে নিবন্ধন না দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নেয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও উপ-সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল।
পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করেছে সেই চিঠিতে একটিমাত্র কারণ দেখিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, যেভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করার কথা সেভাবে করা হয়নি। এ কারণে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে সেটি চিঠিতে বলা হয়নি। এ ছাড়া স্পষ্ট করে কোনো কারণও দেখানো হয়নি। এ বিষয়গুলো আজ আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে রুল জারি করেছেন।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে (এনডিএম) নিবন্ধন না দিয়ে গত ১১ জুন চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন দলটির চেয়ারম্যান মুসা বিন শমসেরের ছেলে ববি হাজ্জাজ। ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।