কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. তারিকুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সামনে ‘আইনের শাসন চাই, মিথ্যা বানোয়াট হিংসাত্মক মামলা প্রত্যাহারসহ তারিকুলের মুক্তি চাই’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইনের শিক্ষার্থী হয়েও সে মানবাধিকারবঞ্চিত হচ্ছে। তাকে পূর্বের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার মুক্তির দাবিতে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছি।’
এ সময় সারা দেশের যত শিক্ষার্থী কোটা আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের যেন হয়রানি না করা হয়—এই দাবি জানান আসিফ নজরুল। তিনি গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের সুবিচার পাওয়ার দাবি জানান।
গত ৩ জুলাই পুলিশের করা শাহবাগ থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক হোসেন, তারিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ওই আদেশ দেন।
আজকের মানববন্ধনে ‘তারিক কেন ডরাস মিছে, বোনেরা তোর আছে পাশে’, ‘আমার ক্যাম্পাসে আমি অনিরাপদ, প্রশাসন চুপ কেন’, ‘তারিকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ লেখাসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিমা তাহসিন বলেন, তারিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অথচ পরিবারকেও জানানো হয়নি। প্রমাণ ছাড়াই নির্যাতন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তারিকুলের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়েছিল সে, তাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ খবর আমাদের জানানো হয়নি। গোপন সূত্রে আমরা খবর পেয়েছি। সে নির্দোষ। এই ছেলেকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চাইছি।’ ছেলেকে রিমান্ডে না নিয়ে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান এই বাবা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধু তারিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারই নয়, দ্রুত কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারিরও দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান নাইমা হক, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, অর্পিতা শামস, নাজমুজ জামান ভূঁইয়া, প্রিয়াঙ্কা বোস প্রমুখ।