কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা দুই মামলায় সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ তিনজনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুজন হলেন, জসিম উদ্দিন ও মশিউর।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল আল মাসুদ এই আদেশ দেন।
মামলায় অপর এক আসামি তরিকুল ইসলামের পরীক্ষা থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই তার রিমান্ড বিষয়ে শুনানির দিন ১৭ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিম ডিবি (পরিদর্শক) বাহাউদ্দিন ফারুকি দুটি মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যকে মামলায় দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, শাহিদ রিজবি, জাহিদুর রহমান জাহিদ প্রমুখ। আর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিলের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ৮ এপ্রিল রাত ১টার দিকে সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা মূল গেট ভেঙে ফেলে এবং দেয়াল টপকে বাসায় ঢুকে পড়ে। তারা হাতে থাকা রড, হকিস্টিক, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে। এর পাশাপাশি পুলিশের কর্তব্যে বাধা দেয়। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের নামে উসকানিমূলক বিবৃতিতে দিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি করে। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার (উপ-পরিদর্শক) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।