প্রথম ট্রান্সজেন্ডার (হিজড়া) প্রফেসর আগেই পেয়েছে ভারত৷পেয়েছে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী কনস্টেবলও৷মানবী মুখোপাধ্যায় ও গঙ্গা কুমারির সেই লড়াই ট্রান্সজেন্ডারদের কাছে আজও প্রেরণা জোগায়৷এবার তাদের সমাজের মূলস্রোতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াইকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন সত্যাশ্রী শর্মিলা৷তিনি ভারতের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার আইনজীবী৷
তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সত্যাশ্রীর আইনজীবী হয়ে ওঠার লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না৷অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে, গঞ্জনা সহ্য করে নিজেকে আইনজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন৷মানবীর মতো তাই ৩৬ বছর বয়সী সত্যাশ্রীর লড়াইও রূপান্তরকামীদের কাছে হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণা৷
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, ‘‘জীবনে অনেক লড়াই করে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির বার কাউন্সিলে নিজের নাম নথিভুক্ত করে আইনজীবী হয়ে উঠেছি৷আমিই হলাম প্রথম রূপান্তরকামী নারী আইনজীবী’’
সম্প্রতি ভারতে নানা পেশায় ট্রান্সজেন্ডাররা সসম্মানে এগিয়ে চলেছেন৷প্রফেসর থেকে শুরু করে কনস্টেবল, বিচারক থেকে শুরু করে আইনজীবী প্রতিটি পেশায় তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন৷পশ্চিমবঙ্গের মানবী মুখোপাধ্যায়ের কাহিনী সকলের জানা৷ তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা ট্রান্সজেন্ডার প্রফেসর৷
এরপর গতবছর রাজস্থান পুলিশে পরীক্ষা দিয়ে মহিলা কনস্টেবলের চাকরি পান গঙ্গা কুমারি৷তিনি রূপান্তরকামী হওয়ায় তাঁকে নিয়োগ করতে চায়নি পুলিশ৷পরে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন৷মামলায় রায় তাঁর পক্ষে যায়৷বিচারপতি দীনেশ মেহতার রায়ের পর তিনি চাকরিতে যোগ দেন৷সূত্র: কলকাতা ২৪*৭