সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামী ও তার সহযোগীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও আমের আলী সরদারের ছেলে শওকত হোসেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন মামলার অপর তিন আসামি।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট এক লাখ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় শওকত হোসেন, মক্ষ্মী রানী সুন্দরী ওরফে ময়না, আব্দুল গফুর ও সাগর মাতব্বরের সহযোগিতায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। পরে তিনি পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় মেয়েটির খালু আশাশুনি উপজেলার বড়দলের মৃত মোহাম্মদ গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী বাদী হয়ে থানায় উল্লিখিত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত। তবে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।