যেকোনও পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কর্মসূচি বেআইনি ঘোষণার দাবিতে করা রিটের আদেশ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১১ জুলাই) রিট আবেদনের আংশিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে মামলার রিট পিটিশনটি (আবেদন) সংশোধন করে আগামীকাল (১২ জুলাই) এই বিষয়ে শুনানি করতে আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। শুনানির শুরুতে বশির আহমেদ আদালতে তার মামলার পিটিশন দাখিল করেন। এরপর তার উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘১৯৮২ সালের মেডিক্যাল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স রয়েছে। সে অনুযায়ী সারাদেশের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তাহলে রিট আবেদন কেন করলেন?’
জবাবে বশির আহমেদ বলেন, ‘তবু আদেশ চাই। এ বিষয়ে শুনানি করতে চাই।’
এরপর আদালত বলেন, ‘আপনি যে আবেদন (মামলা) নিয়ে এসেছেন, তা নিয়ে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত। এ বিষয়ে আগামীকাল শুনানির জন্য রাখি।’
কিন্তু বশির আহমেদ বুধবারই মামলাটির ওপর শুনানি করতে চাইলে আদালত বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পিটিশন সংশোধন করে নিয়ে আসুন। আগামীকাল শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হবে।’
এর আগে বুধবার সকালে (১১ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী বশির আহমেদ রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিটে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ডাকা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। পাশাপাশি রিটে সব জেলা সদরের হাসপাতালগুলোয় কমপক্ষে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ অথবা সিসিইউ ইউনিট বসানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসাসেবা একটি মহান পেশা। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর সম্পর্কও জড়িত। এ পেশায় যারা কাজ করেন, তারা কিছু হলেই কর্মবিরতির ডাক দেন। সাধারণ মানুষকে এভাবে জিম্মি করে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া বেআইনি। এ কারণে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আদালত আদেশ দেবেন।’