আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

জিপি, পিপিদের নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সারাদেশের জেলা আদালতের পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারি পিপিদের জন্য নতুন সম্মানি স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছে। বড় ও গুরুত্বপূর্ণ জেলার আদালতের পিপিদের সম্মানীভাতা ৪৫ হাজার এবং সর্বনিম্ন সম্মানীভাতা যাতে ২৫ হাজারের কম না হয় সে বিষয়ে একটা স্ট্রাকচার দ্রুত তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।

বিভিন্ন জেলা আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সম্মানীভাতা বাড়ানো বিষয়ে গত সোমবার জাতীয় সংসদে (৯ জুলাই) এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন জেলা আদালতে পিপি, জিপি ও এপিপিদের সম্মানীভাতা খুবই কম। তবে তাদের সম্মানিভাতা বাড়ানোর জন্য আমরা একটা স্ট্রাকচার তৈরি করেছি। এর জন্য বড় জেলা ও ছোট জেলা ভিত্তিক ক্যাটাগরিক্যালি স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছে। বড় ও গুরুত্বপূর্ণ জেলার আদালতের পিপিদের সম্মানীভাতা ৪৫ হাজার এবং সর্বনিম্ম সম্মানীভাতা যাতে ২৫ হাজারের কম না হয় সে বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবনার বিষয়ে জানিয়েছি। এ ধরনের একটা স্ট্রাকচার দ্রুত তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, বিগত বছর সমূহে ২৫০ জনের অধিক সিনিয়র জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট, সমপর্যায়ের বিচারকদের যুগ্ম জেলা জজ বা সমপর্যায়ের পদে পদোন্নতি প্রদান করার পদগুলো শুন্য হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে ২০১৫ সালে দশম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায়- সাময়িকভাবে মনোনীত ২০৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯৮ জনকে সহকারী জজ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে ১১তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা সহকারী জজ পদে সুপারিশকৃত সাময়িকভাবে মনোনীত ১৪৩ জন প্রার্থীর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরকে অনুরোধ জানান হয়েছে। এছাড়া গত ২৯ জুন ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন হলে জুডিশিয়াল/ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেটের উক্ত শুন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হবে।

এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলে, বর্তমানে দেশে প্রচলিত আইনের সংখ্যা এক হাজার ১২৯টি (২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত)।

বেগম সানজিদা খানমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে চলতি বছরের ৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯ টি। যার মধ্যে দেওয়ানী মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি এবং ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টিম, অন্যান্য মামলা ( কনটেম্পট পিটিশন /রীট/আদিমসহ) মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩ টি। তিনি জানান সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২ টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ১৮ হাজার ২৪৬ টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬ টি। অধস্তন আদালতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭ টি। তিনি জানান, ৫-১০ বছরের অধিক সময়ের মামলাগুলো দ্রুত নিম্পত্তির লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন সহ সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়েছে।