যেকোনো পরিস্থিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি বা ধর্মঘট ডাকার ওপর নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন সংশোধন করে আবারও রোববার শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রিট আবেদনটি আজ সংশোধন করে দাখিলের কথা ছিল। তবে, রিটকারী আইনজীবী আজ আদালতে সময় প্রার্থনা করে আগামী রোববার সংশোধিত আবেদন দাখিলের কথা জানান।
সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
এর আগে যেকোনো পরিস্থিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ডাকা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী ড.বশির আহমেদ। পরে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে বুধবারই আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।
বুধবার শুনানিতে আদালত বলেন, ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স রয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। তাহলে রিট আবেদন কেন করলেন? জবাবে বশির আহমেদ বলেন, তবুও আদেশ চাই। এ বিষয়ে শুনানি করতে চাই।
আদালত তখন বলেন, আপনি যে আবেদন (মামলা) নিয়ে এসেছেন তা নিয়ে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রাখি। কিন্তু বশির আহমেদ ১১ জুলাই মামলাটির ওপর শুনানি করতে চাইলে আদালত তাকে বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পিটিশন সংশোধন করে নিয়ে আসেন। আগামীকাল ১২ জুলাই বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে আদেশ দেয়া হবে। আজ নির্ধারিত দিনে ১২ জুলাই আদেশ না দিয়ে আগামী ১৫ জুলাই রোববার দিন ঠিক করেছেন আদালত।