বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ গঠনে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে আইনি সেবা সমভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। দরিদ্র, বঞ্চিত ও শোষিত জনগোষ্ঠী যাতে করে নিরবচ্ছিন্নভাবে আইনি সেবা পায় সে লক্ষ্যে সব আইনজীবীকে কাজ করতে হবে। আজ এক অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন।
শনিবার (২১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘এন্টি-জেনেরিক লার্নিং অ্যান্ড রেবেলিয়াস লইয়ারিং: রিফ্লেকশনস অন লিগ্যাল এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান রচিত গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রেবেলিয়াস লইয়ারিং আইনের আঙ্গিনায় একটি নতুন ধারণা। রেবেলিয়াস লইয়ারিং কেবলমাত্র দরিদ্র ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য নয় বরং সব ক্ষেত্রেই রেবেলিয়াস লইয়ারিং প্রতিষ্ঠা করা অধিক সমীচীন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘এন্টি-জেনেরিক লার্নিং অ্যান্ড রেবেলিয়াস লইয়ারিং: রিফ্লেকশনস অন লিগ্যাল এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জানের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে আইন কমিশনের সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. এম শাহ আলম, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারকাত, লেখক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রহমতউল্লাহ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।