সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নামে টার্মিনালের বাইরে দেশের বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বাস, ট্রাকসহ যন্ত্রচালিত সব পরিবহন থেকে টোল (চাঁদা) আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। জারি করা রুলে বাস, ট্রাক টার্মিনাল ছাড়া সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নামে যন্ত্রচালিত সব পরিবহন থেকে এখতিয়ারের বাইরে অবৈধভাবে টোল (চাঁদা) আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্যেষ্ঠ সচিব, উপ-সচিব, সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ প্রধান ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি করে মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব রশিদ খান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রিটকারীর আইনজীবী তৌফিক ইনাম সাংবাদিকদের জানান, ‘দেশের সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ এলাকার সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের পরিবহন থেকে টোল আদায় না করতে ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা জারি করে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। তা সত্ত্বেও টোলের নামে চাঁদা আদায় চলছে।
ফলে টোল আদায়ের নামে এসব চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৩ জুলাই (রোববার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক মলিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দ্র নাথ সাহা।
আইনজীবী জানান, ‘ইজারাদারদের মাধ্যমে টোল আদায়ের নামে ৪০ থেকে ৫০ টাকা হারে বাস-ট্রাকসহ পরিবহনে চাঁদাবাজি সম্পূর্ণ বেআইনি। রাস্তায় এসব চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্যের অতিরিক্ত দাম ধরেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ক্রেতা, গ্রাহক বা যাত্রী হিসেবে সাধারণ মানুষকে বাড়তি টাকা গুণতে হয়। তাই চাঁদাবজির প্রভাব পড়ছে জন-সাধারণের ওপর।’