বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ছবি)

সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি না করার নির্দেশ

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলের বিএনপির নেতা, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পুলিশের (আইজি) মহাপরিদর্শক, সিলেটের পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন আদালত।

রুলে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ না করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের বৈষম্যমূলক গ্রেফতার-হয়রানি কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আাগমী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিলেটের পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সাত বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট কারীর আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি জানান, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহ আহমেদ খসরুর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আজ শুনানি করেন আইনজীবী মইনুল হোসেন ও আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা ও শ্রীমতি পূরবী সাহা।

পূরবী রানী শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থককে গণ-গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ প্রধানসহ তিনজনকে এ নির্দেশ পালনের কথা বলেছেন আদালত।

এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় মানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যাতে নির্বাচনকাজে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহ আহমেদ খসরু গত ২৩ জুলাই সোমবার রিটটি করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও প্রচারকারীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পরিপন্থী। এমনকি বিএনপির নেতা, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের বাড়িতে গিয়েও হুমকি দেয়া হচ্ছে।