রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বাসচাপায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে কি না সে বিষয়ে তথ্য নিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহত ও আহতদের ঘটনা সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আদালতের নজরে আনা হলে হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা ইয়াসমিনকে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ (সোমবার) দুপুরে কোর্টের বিরতির আগে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেই জনস্বার্থে এ বিষয়ে আবেদন করেছি। আবেদনে বাসচাপা দেয়ার ঘটনার সঠিক তদন্ত, আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়েছি।
বিষয়টি উপস্থাপন করার পর আদালত আইনজীবীকে বলেন, আপনি আপনার আবেদন এফিডেভিট (হলফনামা) আকারে দুপুর ২টার দিকে আদালতে উপস্থাপন করুন। আমরা শোনবো।
এ বিষয়ে রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রিটে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইব।
গতকাল রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়েছিলেন। এসব কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস যাত্রী তোলোর জন্য দাঁড়িয়। তবে পেছন দিক থেকে আরেকটি দ্রুতগতির একই পরিবহনের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী।
মারা যাওয়া দুইজন হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
ওই ঘটনায় রোববার রাতেই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩৩। মামলা দায়ের করা পর গতকাল রাতে জাবালে নূরের তিন বাসের দুই চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।