উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এসে চুরি। এমনটা কখনো শোনাই যায় না। কিন্তু পাকিস্তানে এমন ঘটনাই ঘটেছে। দেশটির একজন সচিব কুয়েতের এক কর্মকর্তার মানিব্যাগ চুরি করেছেন। এ ঘটনায় জারার হায়দার খান নামে পাকিস্তানের ওই সচিবকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আরব নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পর কুয়েত প্রতিনিধির মানিব্যাগ চুরি করেন জারার হায়দার খান। তিনি পাকিস্তানের যুগ্ম বিনিয়োগ সচিব।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির একজন গ্রেড ২০ কর্মকর্তা কুয়েতের এক প্রতিনিধির মানিব্যাগ চুরি করেন। কুয়েতের প্রতিনিধি দলটি পাকিস্তানে বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করতে এসেছিল।
এদিকে পাকিস্তানি কর্মকর্তার এমন অপকর্মে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। এ নিয়ে সারা দেশেই উঠেছে নিন্দার ঝড়।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=5MRS8Xtr2qM?rel=0&controls=0]
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, জারার হায়দার খান খালি টেবিলের কাছে গিয়ে পড়ে থাকা মানিব্যাগটি টুক করে তুলে নিয়ে পকেটে পুরে নিচ্ছেন। এই পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে কুয়েতের সেই কর্মকর্তা তার নিজের মানিব্যাগ খুঁজে না পাওয়ায় হইচই বেঁধে যায়। পরে কর্মকর্তারা সরকারিভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।
প্রথমে পাকিস্তানের অর্থবিষয়ক ডিভিশনের সভা ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। কর্মীদের দেহ তল্লাশিও করা হয়। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসল অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়। সেই তদন্তেই ধরা পড়ে পাকিস্তানি কর্মকর্তার কীর্তি।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খোরাক হয়েছেন জারার হায়দার খান। অনেকেই ঘটনাটি নিয়ে ঠাট্টাও করেছেন।
একজন লিখেছেন, ইমরান খান সরকারের তো টাকা নেই, তাই নগদ টাকা চুরি করতে হচ্ছে কর্মকর্তাকে। অন্য একজনের বক্তব্য, এটা একটি সাধারণ চুরির ঘটনা নয়। এটি পুরো দেশের প্রতি একটি অপরাধ। এই চুরির ফলে বিদেশে পাকিস্তানের মাথা হেঁট হয়ে গেছেও বলেও দাবি করেছেন অনেকে।