সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কুলাঙ্গার উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বারের) সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার একবছর পর রায় লিখলেন। এটার মাধ্যমে খায়রুল হক অপরাধ করেছেন।
আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা শীর্ষক জাতীয় কনভেনশনে সোমবার (১ অক্টোবর) তিনি একথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল এ কনভেনশনের আয়োজন করে।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, অবসরে যাওয়ার পরে রায় লিখে তিনি (বিচারপতি খায়রুল হক) অপরাধ করেছেন। রায়ে তিনি তত্ত্ববায়ক সরকার আইন বাতিল করলেন। অথচ কোন গাইড লাইন দিলেন না, নির্বাচন কীভাবে হবে।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, সে (খায়রুল হক) আজকে দেশকে কোথায় নিয়ে গেছে। দেশে আজকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা শুনেছিলাম, পাকিস্তানের সময় ১৮ বছর ভোটাধিকার ছিল না। এখন ২০০৮ সালের পর থেকে মানুষ ভোট দিতে পারছে না। এমনকি আওয়ামী লীগের লোকও ভোট দিতে পারছে না। তারা কী ভোট দিতে পারছেন?
বিএনপির এই আইনজীবী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার ভোট আমি দেব। এখন এই কথা কোথায়?
তিনি আরও বলেন, আজকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা রিফিউজি হয়ে গেছেন। যে দেশের প্রধান বিচারপতি রিফিউজি হয়ে যায় সে দেশে কিসের বিচার, কিসের মানবাধিকার, কিসের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা? যে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকে, সভ্য মানুষ দেশ চালায় তাদের জন্য মানবাধিকার। আজকে কোনো কিছুই নেই। সব ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে।
বারের সম্পাদক বলেন, আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে থাকতে চাই। কারও আশ্রিত হিসেবে থাকতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। অথচ ক্ষমতায় বসে এটা বাতিল করে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মীর হাসমত আলী, সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম রহমান ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, গোলাম মোস্তফা, তৈমূর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান, সাইফুর রহমান, গোলাম মো. চৌধুরী আলম, মো. শাহজাহান, মুহাম্মদ আলী ও ইউনুস আলী আকন্দ প্রমুখ। সূত্র: জাগোনিউজ