মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী:
বিবাহের আগে, পরে ও বিবাহকালীন যৌতুক দাবী, যৌতুক দিলে, যৌতুক গ্রহন করলে, যৌতুক আদান প্রদানে সহায়তা করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল, নূন্যতম ১বছরের জেল, ৫০ হাজার টাকা অথবা জেল জরিমানা উভয় দন্ডের বিধান রেখে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। একইসাথে এই আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হলে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যা ১২০৬৫ পৃষ্ঠা থেকে ১২০৬৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মোট ৩ পৃষ্ঠায় সিনিয়র সচিব ডঃ আবদুর রব হাওলাদারের স্বাক্ষরে এই গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নতুন এই আইনটিকে “যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮” নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে অভিযুক্তরা জামিন অযোগ্য হবে, তবে এই আইনে দায়েরকৃত মামলা আপোষযোগ্য হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই আইনে যৌতুক সংক্রান্ত যেকোন ধরনের চুক্তিকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। এই আইনটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যমান ১৯৮০ সালের ৩৫ নং যৌতুক নিরোধ আইনটি বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে পূর্বতন আইনের অধীনে ইতিপূর্বে দায়েরকৃত মামলাগুলো পূর্বতন আইনেই বিচারকার্য সম্পন্ন করা হবে।
প্রকাশিত গেজেটের অনূবলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রনয়ণ করিতে পারবেন। নতুন আইনটির অধীনে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত, বিচার, আপীলসহ সকল বিচারিক কার্যক্রম ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ৫ ধারা অনুযায়ী চলবে বলে প্রকাশিত গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন আইনটি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। নতুন যৌতুক নিরোধ আইন কার্যকর হলে যৌতুক আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের অনেকটা বন্ধ হবে বলে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহামদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে অত্যন্ত যুগপযোগী এই আইনটি কার্যকর হলে সমাজে যৌতুক প্রথাও হ্রাস পাবে।