‘নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ভিন্নমতের কারও ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রধান বিচারপতি এবং নিম্ন আদালতের আরেক বিচারপতির দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিচারকদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।’ ‘গণতন্ত্র , আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আজ রোববার (৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বারের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা চলছে। ১৬ কোটি মানুষ আজ অবরুদ্ধ। দেশের মানুষ আজ কারাগারে। একদিনের জন্য একটা ভোটের মহড়া হয়। এই সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিল। এখন এই সরকার একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘ সাবেক প্রধান বিচারপতি এখন রিফিউজিতে পরিণত হয়েছেন। আরেক বিচারপতি, যিনি তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন, তিনি মালয়য়েশিয়ায় পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ’
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমানের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। ’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে এখন কোনও ন্যায়বিচারের পরিবেশ নেই। বিচারকরাই যেখানে আতঙ্কিত, সেখানে খালেদা-তারেক বা বিরোধী দলের কারও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত আছেন, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।