ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মো. শাহজাহান খান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এই রায় দেন।
উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতলি গ্রামের চাঞ্চল্যকর ওই হত্যার মামলায় মোখলেছুর রহমান এবং আল আমিন নামে দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম, নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামের আবুল খায়ের, গোলাপ মিয়া এবং দোহা ওরফে দুইখ্যা। এদের মধ্যে আবুল খায়ের ছাড়া বাকি সবাই পলাতক। রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার আমতলি গ্রামের আবদুল বারেক খানের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মো. শাহজাহান খান ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই স্ত্রী কোহিনুরের পরকীয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে।
ওই বছরের ২ ডিসেম্বর রাতে তিন সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন শাহজাহান। রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে শাহজাহানের ঘরে চিৎকার শুনে বাবা বারেক খান ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানায় শাহজাহানের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। এ ঘটনায় পরদিন (৩ ডিসেম্বর) নিহতের বাবা কোহিনুর বেগমকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ কোহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ দেন। পরবর্তীতে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মঙ্গলবার আদালত স্ত্রী কোহিনুরসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না থাকায় মামলায় অপর দুই আসামি মোখলেছ ও আল-আমীনকে খালাস দেয়। আসামিদের মধ্যে আবুল খায়ের ছাড়া বাকীরা জামিনে গিয়ে পলাতক।