আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককেও ইউনুছ আলী আকন্দের সঙ্গে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমম্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তলবের এই আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে নরসিংদীর সুরেশ সরিষার তেলের মালিক সুধীর চন্দ্র সাহার মেয়ে লিমা রানী সাহাকে তুলে নিয়ে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ করার অভিযোগ ওঠে সৈকত পাল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য হাইকোর্টে সুধীর চন্দ্র সাহা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ মামলার আইনজীবী হিসেবে ড. ইউনুছ আলী আকন্দ নিযুক্ত হন। এরপর ওই আবেদনের (হ্যাবিয়াস করপাস) ওপর গত ৭ আগস্ট শুনানি হয়।
এদিকে, মামলাটি গত ৯ ও ১২ আগস্ট মামলাটি পুনরায় কোর্টের কার্যতালিকায় আসে এবং সুধীর চন্দ্র সাহার আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত ১২ আগস্ট আইনজীবী কোর্টে না যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলও জারি করেন আদালত। পাশাপাশি আদালত অবমাননার রুলের ওপর আদেশের জন্য ১০ অক্টোবর আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘গত ৭ আগস্ট শুনানি নিয়ে দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট। তাই আমি কোর্টে যাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর গত ৮ আগস্ট সুধীর চন্দ্র সাহা মামলাটি আমার কাছ থেকে নিয়ে আইনজীবী খবির উদ্দিন ভূঁইয়াকে নিযুক্ত করেন। এরপর থেকে এ মামলা সম্পর্কে আমার কিছুই জানার কথা নয়। এ মামলার দায়-দায়িত্বও আমার নয়।’
এদিকে গতকাল ১০ অক্টোবর মামলার নতুন আইনজীবী খবির উদ্দিন ভূঁইয়া হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে এ মামলায় দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আদালতকে জানান, এই আদালতের খারিজ আদেশ ও ইউনুছ আলী আকন্দের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ১৮ অক্টোবর শুনানির দিন নির্ধারণ রয়েছে। তাই ইউনুছ আলী আকন্দ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার রুলের শুনানিতে দুই সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন হাইকোর্ট।
তবে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) আদালত অবমাননার বিষয়ে কোনও আদেশ না দিয়ে পুনরায় আগামী মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ইউনুছ আলী আকন্দকে তলব করেন হাইকোর্ট। ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককেও ইউনুছ আলী আকন্দের সঙ্গে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।