বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন পর্যন্ত তিন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। এর আগে অর্থপাচর ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে সাত বছর ও ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়।
মানিলন্ডারিং মামলা
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় ২০১৩ সালে মামুনের দণ্ড হলেও তারেক রহমানকে খালাস দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের পর ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পাঠানো দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
ওই মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অন্য আসামিদের সঙ্গে তারেক রহমানকে ১০ বছরের দণ্ড দেয়া হয়। সামাজিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে দেয়া হয় পাঁচ বছরের দণ্ড।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। ওই ঘটনার দীর্ঘ ১৪ বছর পর বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১১ আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়।