ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের গুরগাঁও জেলায় এক বিচারকের স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করেছেন তারই দেহরক্ষী। বিচারকের ১৮ বছর বয়সী ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরগাঁওয়ের এক ব্যস্ত শুপিংমলের সামনে শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযুক্ত দেহরক্ষীর নাম মহিপাল সিং। গত দুই বছর ধরে তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে গুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত সেশন জজ কৃষ্ণ কান্ত শর্মার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। বিচারকের স্ত্রী নাম রিতু (৩৮) ও ছেলে ধ্রুব।
বিচারকের স্ত্রী ও ছেলে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। এসময় মহিপাল তাদের গুলি করেন। এরপর তাদের টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করনে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গাড়িতে তুলতে ব্যর্থ হয়ে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে ফেলে রেখে ওই দেহরক্ষী গাড়ি নিয়ে চলে যান।
এরপর তিনি নিজেই বিচারককে কল করে এই ঘটনা সম্পর্কে জানান।
এ ঘটনার পরে মহিপাল পুলিশ স্টেশনে পৌঁছান। সেখানে ফাঁকা গুলি করে তিনি পালিয়ে যান। পরে তাকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গুরগাঁওয়ের ডিসিপি (পূর্ব) জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই দেহরক্ষী মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তিনি বিচারকের পরিবারের ব্যবহারে বিরক্ত ছিলেন। অভিযুক্ত মহিপালের বাড়িও হরিয়ানাতেই। তার স্ত্রী পেশায় স্কুলশিক্ষক। এই দম্পতির তিন ও সাত বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে।