দেহরক্ষীর গুলিতে গুরুতর আহত ভারতীয় এক বিচারপতির স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ রোববার (১৪ অক্টোবর) সকালে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই, খবর এনডিটিভির।
গণমাধ্যমের খবরে তার নাম রিতু ও তার বয়স ৩৮ বছর বলে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালে থাকা বিচারপতির ১৮ বছর বয়সী ছেলে ধ্রুবর অবস্থাও সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
এর আগে, শনিবার বিকালে ভারতের রাজধানী দিল্লির লাগোয়া গুরগাঁওয়ের একটি ব্যস্ত বাজার এলাকায় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কৃষাণ কান্ত শর্মার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করেছিল তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী।
বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনেই বন্দুকধারী প্রথমে বিচারকের স্ত্রী ও পরে তার ছেলেকে গুলি করেন। গুলি করার পরপরই ওই ছেলেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বন্দুকধারী। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে পথের মধ্যে ফেলে রেখেই যে গাড়ি দিয়ে তারা মার্কেটে এসেছিল সেটি চালিয়ে নিয়ে চলে যান ওই বন্দুকধারী দেহরক্ষী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে নিজেদের মোবাইল ফোনে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করেছেন।
গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পথে গুলিবর্ষণকারী বিচারককে ফোন করে তার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করার কথা জানান। আরও দুটি কল করে অন্যান্য লোকজনকেও এই গুলিবর্ষণের কথা জানান এই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
মহিপাল সিং নামের এই পুলিশ কনস্টেবল গত দুই বছর ধরে বিচারক শর্মার দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে মহিপাল একটি থানায় উপস্থিত হয়ে ফের গুলিবর্ষণ করেন। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান। থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
এর কিছুক্ষণ পরে তাকে গুরুগাঁও-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গুলিবর্ষণের পেছনের কারণ জানতে মহিপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে জানা গেছে, বিচারপতির পরিবারের ‘দুর্ব্যবহারের’ কারণে অত্যন্ত বিষন্ন ও মর্মাহত হয়ে ছিলেন তিনি।
হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহিপালের স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষক। তাদের সাত ও তিন বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।