যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। রোববার নাইজেরিয়া সফর শেষে ফেরার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে তার এই পদত্যাগপত্র এখনো গ্রহণ করেননি নরেন্দ্র মোদি।
গত ৮ অক্টোবর ভারতের দুই নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এরপর তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী মণিকা গান্ধি এ ঘটনায় তদন্ত দাবি করেন। এছাড়া দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও যৌন হয়রানির অভিযোগে আকবরকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফের সাবেক এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন দুই নারী সাংবাদিক। তাদের একজন প্রিয়া রামানি। প্রায় এক বছর আগে ভোগ ম্যাগাজিনের ভারত সংস্করণে প্রকাশিত প্রবন্ধে তিনি এই যৌন নির্যাতনের কথা বলেছিলেন।
টুইট বার্তায় প্রিয়া রামানি বলেন, ‘সেই ঘটনার জন্য দায়ী এম জে আকবর।’ এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন, যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী আকবর সম্পাদক থাকাকালীন তারা যৌন হেনস্তার শিকার হন।
সম্প্রতি ভারতে একের পর এক নারী সাংবাদিক তাদের সাবেক সম্পাদক, ব্যুরো চিফ বা ঊর্ধ্বতন বসের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অজস্র অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সামনে আনতে শুরু করেছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন, কোথাও আবার সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠান অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
গত এক বছর ধরে সফল মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে ‘মি টু’ (#MeToo) আন্দোলন শুরু করেন হলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীদের পাশাপাশি পরিচিত অনেক নারী প্রভাবশালী এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন; যেগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তারই রেশ ধরে ভারতেও শুরু হয়েছে মি টু ঝড়।