নারী সাংবাদিককে কটূক্তি করায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের একটি আদালতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মাকসুদা বেগম বেবি বাদী হয়ে রোববার (২১ অক্টোবর) জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৪/৫০৫ ও ৫০৯ ধারায় মানহানির মামলাটি করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করেন। সমনে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আগামী ২২ নভেম্বর আমলি আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কি-না?’ এর জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি ‘চরিত্রহীন’ বলে আমি মনে করতে চাই।’
তার এ কটূক্তি মানহানিকর। তাই মামলাটিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মাকসুদা বেবির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা সুইটিসহ পাঁচ আইনজীবী।
কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন গণমাধ্যমকে বলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। সমনে তাকে আসছে ২২ নভেম্বর আমলি আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে, রোববার দুপুরে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে জামালপুরে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়। এছাড়া ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজেও। উভয় মামলা আমলে নিয়ে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর এই দুই মামলায় রোববার বিকেলেই উচ্চ আদালত থেকে ৫ মাসের জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।