মানবাধিকার সুরক্ষায় আইনের শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কৈট্টা এলাকায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘হিউম্যান রাইটস সামার স্কুল’ বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সোমবার (২২ অক্টোবর) বিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ স্বাধীন। আমাদের সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার কথা বলা আছে। সে লক্ষ্যেই আইনের শিক্ষার্থীদের মানুষের মানবাধিকার ও অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যেতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি ও আইনের সমন্বয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। কর্মশালা থেকে উপার্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে।’ তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়নে ড. মিজানুর রহমানের প্রশংসা করেন।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে এই কর্মশালা শুরু হয়। ১০ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া কর্মশালার উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় মানবাধিকার আইন বিষয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আইনবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমপাওয়ারমেন্ট থ্রো ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন— প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন আনুষদের ডিন ড. মো. রহমত উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান এবং দায়রা ও জেলা জজ শহিদুল আলম।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সনদ এবং চারটি বিভাগে সেরা অংশগ্রহণকারীকে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান বিচারপতি।