সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এরইমধ্যে এ বিষয়ে অধিক তদন্তে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুদক কার্যালয় ত্যাগ করার সময় সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, অর্থপাচারের তথ্য জানতে ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা অনুরোধ (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট-এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুদক।
সাবেক এই বিচারপতির বিরুদ্ধে আট বছরের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক।
সংস্থাটি বলছে, তার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এমএলএআর পাঠাতে হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে। কমিশনের অনুরোধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে এ অনুরোধ পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগটির অনুসন্ধানে অগ্রগতি আছে। দুদক কর্মকর্তারা কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, ব্যাংক, আয়কর বিভাগ ও ক্ষেত্রমতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে দাখিলকৃত একই বছরের আর্থিক বিবরণী একই অডিট ফার্মের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে এবং আর্থিক বিবরণীটি হতে হবে অভিন্ন।
ফাইন্যানসিয়াল বিবরণী বিভিন্ন সংস্থায় ব্যবহারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ জাতীয় কয়েকটি অভিযোগ কমিশনে এসেছে।
তিনি বলেন, এ সকল অভিযোগে দেখা যায় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান একই অর্থবছরে ব্যাংক অথবা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে যে পরিমাণ সম্পদ দেখিয়ে ফাইন্যানসিয়াল বিবরণী জমা দিয়েছে, ঠিক একই বছরে আয়কর বিভাগে অনেক কম সম্পদ দেখিয়ে ফাইন্যানসিয়াল বিবরণী জমা দিয়েছে।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে, অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান।