সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এ ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরাও। আদালতে হাজিরা দিতে আসতে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
আজ রোববার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার নিম্ন আদালতে বিচারপ্রার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
ভোগান্তিতে পড়া সোহেল রানা তাদেরই একজন। তিনি ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিএনজিযোগে হাজারীবাগ থেকে এসেছেন জজ কোর্টে। উদ্দেশ্য তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার হাজিরা দেয়া। যেখানে তিনি আগে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে আদালতে আসতেন।
সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গাড়ি চলছে না। সিএনজি ও রিকশাচালকরা তিন থেকে চারগুন বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। তারা যেটা চাচ্ছেন ঠিক সেটাই দিতে হচ্ছে। যেহেতু আদালতে আসতেই হবে সেহেতু উপায় কী? তাই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে হাজিরা দিতে আদালতে আসলাম।
মানিক চন্দ্র লাল। তিনিও নতুন বাজার থেকে তুরাগ থানার একটি মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। তিনি আগে ২০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে আদালতে আসতেন। আজ রিকশায় আসেন। ভাড়া দিয়েছেন ২৪০ টাকা।
তিনি বলেন, রাস্তায় তেমন কোনো পরিবহন নেই। দু-একটি বিআরটিসির বাস চলছে। তবে তাতে ওঠার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। তাই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আদালতে আসতে হলো।
আদালতে চাকরি করেন সাহেব আলী। তিনি জানান, আমি যাত্রাবাড়ী থেকে ১৫০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে আদালতে এসেছি। আগে যেখানে ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে আসতাম।
সোহেল রানা, মানিক লাল ও সাহেব আলীর মতো অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হয়েছেন। গণপরিবহন না থাকায় তাদের মতো অনেককে এমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়াও দিতে হচ্ছে তাদের।