গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়ায় মাছ চুরির অভিযোগে করা মামলায় জামিন আবেদন শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট।
জামিন-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিতে আজ সোমবার (২৯ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।
আদালতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ।
পরে হাইকোর্টের বিব্রতবোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ। নিয়ম অনুযায়ী এখন আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে, তিনি অন্য একটি বেঞ্চে নির্ধারণ করে দেয়ার পর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে। এ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সাভারেই পৃথক পাঁচটি মামলা করা হলো।
গত বুধবার রাতে কাজী মহিবুর রব নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে মাছ চুরির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ডা. জাফরুল্লাহসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ জায়গার ক্রয়সূত্রে নিজেকে মালিক দাবি করেন কাজী মহিবুর রব নামে এক ব্যক্তি। তার দাবি, দীর্ঘদিন থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ অবৈধভাবে সেই জমি দখল করতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ জমিতে অনধিকার প্রবেশ ও চাঁদা দাবি করে আসছেন। এমনকি জাফরুল্লাহ চৌধুরী লোকজন দিয়ে জমিতে থাকা মাছ চুরি করিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার।’
এর আগে গত ১২, ১৫, ১৯ ও ২১ অক্টোবর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় আরও চারটি মামলা হয়।
১২ অক্টোবর রাতে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, জমি দখল ও সাইনবোর্ড চুরির অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন আশুলিয়ার ডেণ্ডাবর এলাকার বাসিন্দা হাসান ইমাম।
১৫ অক্টোবর রাতে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার খামারহাটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী।
পর পর দুটি চাঁদাবাজির মামলার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯ অক্টোবর চুরির অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। মামলার বাদী রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৈয়দ সেলিম আহমেদ (৬১)। অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি, হুমকির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি।
এরপর ২১ অক্টোবর জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। মামলার বাদী আশুলিয়ার নলাম গ্রামের নাসির উদ্দিন (৪৯)। মামলায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও অজ্ঞাত ৪০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দামের মালামাল চুরির অভিযোগ আনা হয়।