আইনজীবী তালিকাভুক্তির সর্বশেষ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নসহ চার দফা দাবিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা তাদের অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ও লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজি নজিবুল্লাহ হিরুর আশ্বাসে এ অনশন কর্মসূচি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ অক্টোবর) অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষানবিশ আইনজীবী শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে আবুল হাসনাত জানান, হুমায়ূন স্যার ও হিরু স্যার আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং আমাদের চার দফা দাবি মৌখিকভাবে মেনে নিয়েছেন। বার কাউন্সিল সভায় আমাদের দাবি উত্থাপন করে উনারা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের নিয়ম না থাকলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। একইসঙ্গে অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি পেতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন হুমায়ূন স্যার ও হিরু স্যার।
এ শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরও বলেন, যেহেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়েছি আশাকরি উনারা আমাদের নিরাশ করবেন না। সকলের জন্য মঙ্গলজনক এমন সিদ্ধান্তই নেবেন আমার বিশ্বাস। এজন্য আমরা আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি আপাতত (৩১ অক্টোবর পর্যন্ত) স্থগিত রেখেছি।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষানবিস আইনজীবীরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সামনে গত বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। আইনজীবী তালিকাভুক্তির সর্বশেষ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নসহ চার দফা দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবিগুলো হল–
- আইনজীবী তালিকাভুক্তির সর্বশেষ অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার খাতা (থার্ড এক্সামিনার) তৃতীয় পরীক্ষক দ্বারা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
- প্রতি বছর আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফল প্রকাশ করতে হবে।
- আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ প্রদান করতে হবে এবং
- খাতা জালিয়াতি রোধে লিখিত পরীক্ষার খাতার ওপরে ‘ওএমআর’ পদ্ধতির ব্যবস্থা রাখতে হবে।