গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও)-তে তিনটি সংশোধনী এনে রেপ্রিজেনটেশন অব দি পিপলস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।
আজ সোমবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
আরপিও-এর সংশোধনীগুলো হলো- প্রথমত, ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। এটি বাধ্যতামূলক নয়। কতগুলো কেন্দ্রে কীভাবে এটি ব্যবহার করা হবে সেটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। দ্বিতীয়ত, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধ করা যাবে। আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে তা পরিশোধ করতে হতো। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়- সময় যত বেশি পাবে, খেলাপি ঋণ তত বেশি আদায় হবে। তৃতীয়ত, ম্যান্যুয়াল পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি একই নিয়মে অনলাইনেও মনোনয়নপত্রও দাখিল করা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আরও জানান- যেহেতু সংসদ শেষ হয়ে গেছে, সে কারণে এটা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কথা বলার সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ইভিএম মেশিন যদি কেউ ভাঙচুর করে বা ডিভাইস নষ্ট করে অথবা ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল ও সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেসব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হবে, সেসব জায়গায় ইভিএম-এর পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিও রাখা হবে। যদি ভোটগ্রহণের সময় ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।’
দেশের কয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও এটি চূড়ান্ত হয়নি।’