আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতসমূহ এবং সমপর্যায়ের ট্রাইবুনালসমূহে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ৭৬১টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক লিখিত বক্তব্যের উত্তরে সোমবার (২৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি জানান, মামলার দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো এজলাস সংকট। এজলাস স্বল্পতা দূর করে সর্বোচ্চ কর্ম ঘণ্টা ব্যবহার করে বিচার কাজে গতিশীলতা আনয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য বিচারকদের সংখ্যা বদ্ধি ও এজলাস সংকট নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিচার কাজে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনকে গতিশীল করা হয়েছে যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ দেয়া যায়।
আইনমন্ত্রী জানান, ২০১৪ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ২৮ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অধঃস্তন আদালতে মোট ৪২৭ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৩তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা-২০১৭ এর মাধ্যমে সহকারী জজ পদে ১৪৩ জন প্রার্থীর নিয়োগ পূর্ব প্রাক-পরিচয় যাচাই চলছে। প্রাক-পরিচয় যাচাই প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ১২তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা-২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সারা দেশে সহকারী জজ/ সিনিয়র জজের ৯৪টি পদ শূন্য রয়েছে। ১১তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে এ পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। যুগ্ম জেলা জজ থেকে জেলা জজ পর্যায়ে ৪১টি পদ শূন্য রয়েছে। যা পদোন্নতি/ বদলির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকার দেশে আরো ৫টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইবুন্যাল, ৭টি সাইবার ট্রাইবুন্যাল, ৮টি মানি লন্ডারিং ট্রাইবুন্যাল, ১২২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ১৯টি পরিবেশ আদালত, ৬টি পরিবেশ আপিল আদালত, ২১৪টি সহকারী/ সিনিয়র সহকারি জজ আদালত, ৩৪৬টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।