জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়কে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করে এর প্রতিবাদে বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের আদালত বর্জনের কর্মসূচি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
আজ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ ঘোষণা দেন।
কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য, এরকম একটি বেআইনি রায়ের (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামালায়) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আমরা আশা করছি, আগামীকাল (বুধবার) আমাদের সব আইনজীবী এই সিদ্ধান্তে সহযোগিতা করবেন।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘পূর্বে আদালত বর্জনের মতো কোনও কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করিনি। আমরা চেয়েছিলাম আদালতের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে। প্রধান বিচারপতিকে (সৈয়দ মাহমুদ হোসেন) সংবর্ধনা দেওয়ার সময় আমরা বলেছি যে, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যাওয়ার পরে এই বিচার বিভাগে একটি ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আপনার (প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন) দায়িত্ব হচ্ছে, সেই ক্ষত মুছে দেওয়া। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই ক্ষত মুছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এখনও প্রশাসন এই বিচার বিভাগকে বণ্টন করার চেষ্টা করছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সারাদেশের মানুষ উচ্চ আদালতের প্রতিনিধিদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা মনে করে এই প্রতিনিধিরা আমাদের (জনগণের) জন্য কিছুটা প্রতিকার করবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই আইনজীবী সমিতি এ কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ছাড়াও এসময় সমিতির অন্য নেতারা এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আগামীকালের (বুধবার) আদালত বর্জন কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট। একাধিক বৈঠক শেষে ফ্রন্টের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ কর্মসূচিতে সমর্থন দেন। ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।