বাংলাদেশের সব চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ডোপ টেস্ট এবং কাবিন রেজিস্ট্রির আগে বর-কনের রক্তে মাদক ও থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তার পরীক্ষা করা কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিয়ের আগে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খাইরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং পুলিশের আইজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
এর আগে গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনও রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। এছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এরমধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মাদকাসক্তি।
বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশি পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অক্ষমতা। আর মাদক, যেমন- ইয়াবা, হেরোইন ও অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে তারা পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর ধারামতে ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যৎ সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।