বিচারকের মালামাল আটকে চাঁদাবাজি অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

বান্দবানের সাবেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী আক্কাসের মালামাল আটক রেখে চাঁদাবাজির অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

আজ সোমবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে এ আদেশ দেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসেন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল রোববার (৪ নভেম্বর) বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বাদি হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে ছয় জনের নাম ঠিকানাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা আসামীরা হলেন – আবুল কাশেম, আবুল হাশেম, হেলাল উদ্দিন, ইমরান, রাব্বী ও রোকন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মামলার বাদি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বান্দবানের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী আক্কাসের বদলী জনিত কারণে বাসার যাবতীয় মালামাল নিয়ে বদলিকৃত স্থানে যাওয়ার পথে আনোয়ারা থানাধীন তৈলারদ্বীপ সেতুর ঘরের সামনে পৌঁছালে ট্রাকভর্তি মালামালের জন্য ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসামীরা। এ সময় মামলার বাদি নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হলে আসামীদের মধ্যে আবুল কাশেম তার মাথায় পিস্তল ও আবুল হাশেম পেটে চাকু ধরে টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় হেলাল উদ্দিন বাদির পকেট থেকে ২৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং অন্য আসামীরা বাদিকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন। পরে হাতে ১৫০ টাকার টোল রশিদ ধরিয়ে দেন তাকে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি অভিযোগ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদি। পরে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মোঃ রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী/চট্টগ্রাম প্রতিনিধি