ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ:
সংসদের গুণগত মান নির্ভর করে সাংসদদের সার্বিক যোগ্যতার ওপর। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা পরিমাপের বাটখারা কি? শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অবস্থান নাকি জনপ্রিয়তা? আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্যকে তাঁর যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয় নির্বাচনে জনপ্রিয়তার মধ্যে দিয়ে। একজন ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা যা-ই থাকুক না কেন, তার পেশা যা-ই হোক না কেন, তিনি দেখতে যেমন-ই হোন না কেন, আইনে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে, তাঁর যদি ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য।
বিচারপতি সিনহা তাঁর লেখা “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটিতে আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থা এবং সাংসদদের যোগ্যতা নিয়ে বিশাল সমালোচনা উপস্থাপন করেছেন। তাঁর বইয়ের অধ্যায় ২৭-এ তিনি অভিযোগ করেছেন, আমাদের গণতন্ত্র ত্রুটিপূর্ণ। তাঁর মতে, বাংলাদেশে শিক্ষিত এবং আইন জানা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা কম। বিচারপতি সিনহার মতে বাংলাদেশে নির্বাচন করে দল, ব্যক্তি নয়। নির্বাচনে যেই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে তারাই সরকার গঠন করে। [… a political party through the process of election secures most of the seats in the parliament under the banner of a political party becomes majority members.] আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলটির নেতাই ক্যাবিনেট এবং সরকার গঠন করে। [The leader of said political party who commands the support of the majority of the Members of Parliament forms the Cabinet which runs the government.]
এ কারণে বিচারপতি সিনহা তাঁর “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ২৭-এ আমাদের সরকার ব্যবস্থার সমালোচনা করে লিখেছেন:
“…Article 70 in any format ensures adherence of Members of Parliament belonging to a party to abide by the party’s instructions.”
অর্থাৎ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ একজন সংসদ সদস্যের পূর্ণ গণতন্ত্রচর্চায় বাধা সৃষ্টি করে। কেননা এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্যকে যে কোনো মূল্যেই তার দলের কথা অনুযায়ী চলতে হয়। অতএব, ব্যক্তি সংসদ সদস্যদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়। ফলে, বিচার বিভাগের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের উপর ন্যস্ত হওয়া মোটেও উচিত নয়।
এখানে উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনীর উপজীব্য বিষয় ছিল, সংসদ কর্তৃক বিচার বিভাগীয় সদস্যগণের অসদাচরণ নিয়ন্ত্রণে অভিশংসনের (ইমপিচমেন্ট) ক্ষমতা প্রয়োগ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় অপরিবর্তনীয় রেখে একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, বিষয়টি অসাংবিধানিক। অন্যতম মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যে, যদি বিচারবিভাগীয় সদস্যগণের অসদাচরণ নিয়ন্ত্রণে সংসদ অভিশংসনের ক্ষমতা প্রয়োগ করে তবে তা সংবিধানের আদি ভিত্তি, যেমন ক্ষমতার বিভাজন-নীতি, আইনের শাসননীতি এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা-নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়াবে। রায়ে আরেকটি বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে, আর তা হল, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের আলোকে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে থাকা বিচার বিভাগ মোটেও প্রত্যাশিত বলে মনে করে না।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলার রায়ের ২৮১-২৮২ পৃষ্ঠায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিচারপতি সিনহা লিখেছেন:
“We find no infirmity in the views taken by the High Court Division on construction of article 70; and that in view of article 70, the members of Parliament must toe the party line in case of removal of any Judges of the Supreme Court. Consequently, the Judges will be left at the mercy of the party high command. We find no wrong in taking the above view.”
অর্থাৎ বিচারপতি সিনহা লিখেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্ট বিভাগ যে মর্মার্থ গ্রহণ করেছে আমরা তাতে অযৌক্তিকতা দেখি না এবং সেদিক থেকে দেখতে গেলে বলা যায় যে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের তাদের পদ থেকে অপসারণের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণ নিঃসন্দেহে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দলের হুকুম তামিল করতে বাধ্য থাকবেন। এর ফলে বিচারকগণ তাদের পদরক্ষার জন্য প্রতিটি মুহূর্তে রাজনৈতিক দলের উচ্চস্থানীয় নেতৃত্বের দয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। আমাদের এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াতে মোটেও ভুল নেই।
এছাড়াও ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলার রায়ের ২৮৪ পৃষ্ঠায় বিচারপতি সিনহা লিখেছেন:
“We are of the view that in presence of article 70, it is difficult for a member of Parliament to form an opinion independently ignoring the directions given by the party high command of the political party in power.”
অর্থাৎ বিচারপতি সিনহা লিখেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের উপস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক উর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে কখনও স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকে না।
এখানে উল্লেখ্য যে, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলায় আপিল বিভাগের মোট সাতজন বিচারপতির মধ্যে পাঁচজন বিচারপতিই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিরূপ পর্যবেক্ষণ প্রদান করেছেন। আমরা সবাই জানি যে, আপিল বিভাগে যখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলার রায় দেয়া হয়, তখন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত একটি রিট পিটিশনের শুনানি হাইকোর্টে চলছিল। এ অবস্থায় বিচারাধীন একটি বিষয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতিগণের যে কোনো মন্তব্য হাইকোর্টে চলমান রিট পিটিশনের রায় প্রভাবান্বিত করতে বাধ্য। কেননা সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী–
“আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য… অবশ্যপালনীয় হইবে।”
যদি তাই হয়, তবে হাইকোর্ট বিভাগে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিচারাধীন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলায় আপিল বিভাগ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করেছে। এভাবে বিচার বিভাগ নিজেই যখন নিজেদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে তখন তার সাংবিধানিক দায়ভার কে নেবে? তবে এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ তারিখে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট পিটিশনটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সিনহা তাঁর লেখা “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটিতে সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা শুধুমাত্র সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে পরিমাপ করেছেন তা কিন্তু নয়। তিনি একই সাথে আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্যদের যোগ্যতার ব্যাপারে নানাবিধ প্রশ্ন তুলেছেন। তার বিশেষ অ্যালার্জি ব্যবসায়ী সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে। ব্যবসায়ীদের বিচারপতি সিনহা মনেই করেন না তারা সাংসদ হওয়ার যোগ্য। “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ২৭-এ বিচারপতি সিনহা লিখেছেন, বর্তমানে আমাদের সংসদে বেশীরভাগ সংসদ সদস্যই ব্যবসায়ী। [Most lawmakers have business or are attached to business houses.] তাতে কি অপরাধ আমি বুঝলাম না! কারণ আমাদের সংবিধানে কোথাও তো উল্লেখ করা নেই যে ব্যবসায়ীরা সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না বা সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। তাহলে বিচারপতি সিনহার এতে আপত্তি কেন? কোনো ব্যবসায়ী যদি জনপ্রিয়তার মাধ্যমে জনগণের মন কেড়ে নির্বাচনে জয় লাভ করে সাংসদ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন তাহলে বিচারপতি সিনহার কেন এত আপত্তি?
বর্তমান সাংসদদের ব্যাপারে বিচারপতি সিনহার আরও অভিযোগ রয়েছে। “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ২৭-এ তিনি লিখেছেন যে, বর্তমানে আমাদের সাংসদদের মধ্যে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগেরই ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে এবং স্বভাবতই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। [About 30 to 40 percent have criminal records and naturally they have litigation pending in the courts.] আমাদের বর্তমান সাংসদদের মধ্যে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগেরই যে ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে —এই তথ্য বিচারপতি সিনহা কোথায় পেলেন আমি জানি না। তাহলে কি ধরে নেবো আমাদের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন-কানুন-বিধিমালা প্রয়োগে ব্যর্থ? আমাদের প্রায় ১০৫ জন থেকে ১৪০ জনের মত সংসদ সদস্য অপরাধী কিন্তু আমরা কেউ তা আমলেই নিচ্ছি না? বিচারপতি সিনহা নিজে প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এই সব অপরাধী সংসদ সদস্যদের (!) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দিলেন না কেন?
‘সংসদ শুদ্ধিকরণ’ অভিযানে বিচারপতি সিনহা মনে করেন, যেহেতু আমাদের সংসদ সদস্যগণ মূলত অপরাধপ্রবণ, ক্ষমতালোভী, নীতিহীন, কল্যাণমুখী রাজনীতির প্রতি বিমূখ, মানবতাবিবর্জিত, সুশাসন-পরিপন্থী, তাই আমাদের দেশ-জাতি-সমাজ এক ভয়ানক পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে সময়ে, যখন দেশের রাজনৈতিক আকাশে ‘দুর্যোগপূর্ণ মেঘের ঘনঘটা’ বিচারপতি সিনহা তখন প্রশ্ন তোলেন – ‘কে দেবে আশা? কে হবে ভরসা?’ তবে, স্বস্তির ব্যাপার হল, বিচারপতি সিনহা শুধু প্রশ্নই তোলেননি, উত্তরও খুঁজে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন শুধু আইনজীবীরাই পারেন আমাদের সংসদের ও দেশ-জাতি-সমাজের অবক্ষয় রোধ করতে। আর তাই, বিচারপতি সিনহা “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ১৫-জ-এ লিখেছেন, “… I believe we will face disastrous consequences since everywhere politicians are out to grab power leaving aside principles, political science, humanity and good governance. It is only the lawyers who can be saviors in this milieu.”
বিচারপতি সিনহা তাঁর উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তাঁর “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ২৭-এ লিখেছেন, উন্নত দেশে সংসদ সদস্যদের মধ্যে শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগই হলেন আইন পেশা থেকে আগত। [In developed countries, 80 to 90 percent lawmakers have law backgrounds.] এমন কী প্রতিবেশী ভারতে সংসদ সদস্যদের শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগই হলেন আইন পেশা থেকে আগত। [Even in India 30 to 40 percent lawmakers have law background.] কিন্তু যেহেতু আমাদের দেশে সংসদ সদস্যদের মধ্যে মাত্র শতকরা ১০ ভাগ হলেন আইন পেশা থেকে আগত সেহেতু আজকে আমাদের এই বিপর্যয়। [In our country less than 10 percent of the lawmakers have background in law.]
তাহলে মূলকথা দাঁড়াল এই, বিচারপতি সিনহা মনে করেন আমাদের সংসদে যদি আইনজীবীদের প্রাধান্য থাকে তাহলে আমাদের সংসদের গুণগত মানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তখন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ থাকলেও বা কী হবে! বিচারপতি অভিশংসনের মত ব্যাপারটিও তখন নিশ্চিন্তে সংসদের ওপর ছেড়ে দেয়া যাবে। উত্তম বিবেচনা! কিন্তু এই কথা বলার পর বিচারপতি সিনহা আমাদের আইনজীবীদের সম্পর্কে এ কী কথা বললেন?
বিচারপতি সিনহা তাঁর “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ১৫-জ-এ লিখেছেন, দেশজুড়ে বাংলাদেশের আইনজীবীদের পেশাগত মান একদম নিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে, হাতেগোনা ব্যতিক্রম ছাড়া, বেশিরভাগ আইনজীবী এখন জ্ঞান আহরণের চেয়ে অর্থ উপার্জনেই অধিকাংশ সময় ব্যয় করে থাকেন। [Already there is much depletion in the standard of lawyers practicing all over the country. Due to socio-economic changes, except a few, lawyers are now more money-driven rather than knowledge-driven.]
বিচারপতি সিনহা তাঁর “এ ব্রোকেন ড্রিম” বইটির অধ্যায় ১৫-ঝ-এ আরও লিখেছেন, আইনজগতে আইনজীবী এবং বিচারপতি হিসেবে দীর্ঘকাল থাকার কারণে বিচারপতি সিনহা বিশ্বাস করেন, মামলাতে শতকরা ৬০ ভাগ বিচারপ্রার্থীর হেরে যাওয়ার কারণ হচ্ছে আইনজীবীদের অপেশাদার আচরণ, জ্ঞানের অভাব, দায়িত্বে অবহেলা অথবা দুর্নীতি। [My long association with the legal fraternity, both as lawyer and judge, has led me to believe that about 60 percent of the litigants lose their case due to improper conduct, lack of knowledge or negligence or corruption of the lawyers of the parties.]
বিচারপতি সিনহার এরূপ স্ববিরোধিতার কারণ কি? একদিকে তিনি বললেন, আমাদের সংসদ সদস্যদের যোগ্যতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে কেননা তাদের মধ্যে আইন বিষয়ে জ্ঞানের বড্ড অভাব। তাই উন্নত দেশের ফর্মুলা অনুযায়ী আমাদের সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বেশি হওয়া উচিত। আবার একই সাথে বিচারপতি সিনহা লিখলেন বাংলাদেশের আইনজীবীদের পেশাগত মান অতি নিম্নমানের। তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে। অর্থ উপার্জনই তাদের বেশিরভাগের মূল ধ্যানজ্ঞান। এখন তাহলে আমরা ব্যবসায়ীদের থেকে আইনজীবীদের আলাদা করে দেখব কী করে? বিচারপতি সিনহা সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে তামাম আইনজীবীদের যোগ্যতাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেললেন। আবার একই সাথে আজকের বিচারপতি যারা গতকাল আইনজীবী ছিলেন, (যেমন বিচারপতি সিনহা) তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠালেন।
লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আইনের শিক্ষক