‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে আরও সমুন্নত করতে সৎ, নির্ভীক ও দৃঢ়চেতা বিচারকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আইন গুরুত্বপূর্ণ। এ আইনের মাধ্যমেই জনগণ প্রতিকার পেয়ে থাকে। আর এক্ষেত্রে বিচারকদের ভূমিকাই মুখ্য।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নবাব নওয়াব আলী মিলনায়তনে সোমবার (৫ নভেম্বর) আইন বিভাগ আয়োজিত বিচারপতি সিকান্দার আলী মেমোরিয়াল বৃত্তি প্রদান-২০১৮ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আইনের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইনের অনুপস্থিতিতে ক্ষমতার অপব্যবহার সৃষ্টি হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৃত্তি প্রদানের মতো গঠনমূলক কাজের মধ্য দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব। বিচারপতি সিকান্দার আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হবে।’

স্পিকার বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ। এ তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও সুসম্পর্ক বজায় থাকলে রাষ্ট্র স্বাভাবিক গতিতে চলে। আর এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কাজ সম্পাদন করে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জয়ন্ত কুমার মৃধা ও ইফফাত সাজিয়া মিম স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে বৃত্তির চেক গ্রহণ করেন। এ সময় বৃত্তিপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইনের শাসন’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বিচারপতি সিকান্দার আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নায়মা হক, বিচারপতি সিকান্দার আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের দাতা ও মরহুম সিকান্দার আলীর মেয়ে প্রফেসর সারোয়ার সুলতানা। অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।