জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে আপিল আবেদন শুনানির (মোকাবেলায়) জন্য শতভাগ প্রস্তুত রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।
এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা (দুদক) শতভাগ প্রস্তুত খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য।’
হাইকোর্টে আপিল করার পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমরা আপাতত কোনো বিষয়ে আবেদন করিনি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের এ আপিল মোকাবেলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সর্বদা শতভাগ প্রস্তুত আছে।’
এদিকে আপিলের পর খালেদা জিয়ার পক্ষের আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন, ‘২০টি গ্রাউন্ডে এ আবেদন করা হয়েছে। আপিলের সঙ্গে রয়েছে জামিন আবেদনও।’ তবে ছয় শতাধিক পৃষ্ঠার আপিল হাইকোর্টের কোন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে তা নিশ্চিত করেননি ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।
গত ২৯ অক্টোবর পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ।
একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫। সেই থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপি প্রধান। দুদকের পক্ষেও সাজা বাড়ানোর আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে ওই আপিলে খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।