মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির ৪ জন বিচারককে বদলী ও বিচারক হিসাবে নতুন পদায়ন হওয়া ৩ জন শিক্ষানবীশ সহকারী জজকে প্রশিক্ষণ মেয়াদের জন্য কক্সবাজার জেলা জজশীপে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বদলীকৃত বিচারকদের মধ্যে- কক্সবাজার জেলা জজশীপের সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকীকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে, সহকারী জজ বেগম মোছাম্মৎ নুসরাত জাহানকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে লক্ষীপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বদলী করা হয়েছে। কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীনে থাকা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেবকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া চৌকি আদালতের বর্তমান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারেক আজিজকে লক্ষীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বদলী করা হয়েছ।
গত ১৯ নভেম্বর আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-১ এর উপ সচিব মোঃ মাহবুবার রহমান সরকার স্বাক্ষরিত ৭৯৪ নং স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ ৪ জন বিচারক সহ ১৩৭ জন বিচারককে দেশের বিভিন্ন বিচারালয়ে বদলী করা হয়। ৪ জন বিচারককে কক্সবাজার থেকে বদলী করা হলেও বদলীকৃত শূন্য পদে কোন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়নি। বদলী হওয়া চার জন বিচারকের মধ্যে রাজীব কুমার দেব, মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী ও বেগম মোছাম্মৎ নুসরাত জাহান চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা ও মোঃ তারেক আজিজ নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা।
এদিকে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১১ তম ব্যাচের নতুন পদায়ন হওয়া তিন জন বিচারককে কক্সবাজার জেলা জজশীপে প্রশিক্ষণ মেয়াদের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নিয়োগকৃত শিক্ষানবীশ সহকারী জজবৃন্দ হচ্ছেন- চট্টগ্রাম জেলার মোহাম্মদ জাহেদুল হকের পুত্র মোহাম্মদ জিয়াউল হক, একই জেলার আলহাজ্ব মৌং জাফর আহমদের পুত্র মুহাম্মদ বেলাল ও শরিয়তপুর জেলার এমএ সাত্তার খানের কণ্যা ফাহমিদা সাত্তার। এ তিনজন শিক্ষানবীশ বিচারক কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বিচারকার্য পর্যবেক্ষণ ও বিচারিক প্রশিক্ষণ নেবেন। কিন্তু তাঁরা সরাসরি কোন বিচারকার্যে অংশ নিতে পারবেননা।
গত ১৯ নভেম্বর আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-১ এর উপসচিব মোঃ মাহবুবার রহমান সরকার স্বাক্ষরিত ৭৯১ নং স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এই তিন জন শিক্ষানবীশ সহকারী জজসহ ১৪৩ জন নতুন পদায়নকৃত বিচারককে দেশের বিভিন্ন আদালতে নিয়োগ দেয়া হয়।
এদিকে কক্সবাজারের আদালত থেকে চার জন বিচারককে বদলী করা হলেও বদলীকৃত শূণ্যপদে নতুন কোন বিচারক নিয়োগ নাদেয়ায় কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছৈয়দ আলম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছৈয়দ আলম বলেন, এমনিতে আশি হাজেরেরও বেশী মামলার ভারে কক্সবাজার বিচারলয়ে মামলার প্রচন্ড জট লেগে আছে। সেখানে একসাথে চারজন বিচারককে কক্সবাজার থেকে বদলী করে শূণ্যপদে কোন বিচারক নিয়োগ না দেয়ায় মামলা জট আরো ভয়াবহ আকার ধারন ও বিচারপ্রার্থীরা চরম বিড়ম্বনার শিকার হবেন বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি দীর্ঘ প্রায় এক বছর থেকে শূণ্য থাকা কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদসহ সদ্য বদলী হওয়া বিচারকদের শূণ্য পদে অবিলম্বে বিচারক নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।