যশোর–২ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ এক দিনের জন্য স্থগিত করে কাল রোববার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি।
রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ শনিবার (১ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম; সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী। সাবিরার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আমিনুল ইসলাম।
সাবিরা সুলতানাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। আজ সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দুটি করা হয়।
সাবিরা সুলতানার ছয় বছরের কারাদণ্ড (বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়) গত বৃহস্পতিবার স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ দুর্নীতির পৃথক পাঁচ মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। তাঁরা হলেন আমানউল্লাহ আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মসিউর রহমান ও মো. আবদুল ওহাব। তাঁদের ৮ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ছিল। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, সংবিধান অনুসারে দুই বছর বা তার বেশি সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ আদেশের ফলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
সাবিরা সুলতানার দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিপরীতে কোনো একক বেঞ্চে এমন আদেশ হলে অবশ্যই আপিল বিভাগে যেতে হবে।
আইনজীবী সূত্র বলেছে, ৪২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর দুদক সাবিরার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছিল। গত ১২ জুলাই ঢাকার একটি আদালত তাঁকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে পৃথক আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।