চাঁদপুরের রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের নারী ভোটাররা স্থানীয় এক পীরের নির্দেশে কখনই নির্বাচনে ভোট দেন না। প্রতিদিনের প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোলেও ভোটকেন্দ্রে যান না তারা। ফলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না এসব নারী ভোটার। রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৪ হাজার ৪৫৪ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১২ হাজার ১১৪ জন।
দীর্ঘ প্রায় ৪৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা এলাকার নারীরা। লেখাপড়া, বাজারঘাট আর অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে ঘরের বাইরে বেরোলেও নির্বাচনের দিন ঘরে বসেই কাটে এসব নারীর। কখনই ভোট দিতে যান না ভোটকেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর থেকে স্থানীয় এক পীরের নির্দেশ মেনে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত তারা। এই দীর্ঘ সময় অনুষ্ঠিত স্থানীয় কিংবা জাতীয় কোনো নির্বাচনেই তারা ভোট দেননি।
আসন্ন নির্বাচনেও এই ইউনিয়নের নারীরা ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, ওই পীর নারীদের নিষেধ করার পরে আর কেউ ভোট দেননি এখন পর্যন্ত। এমনকি স্থানীয় লোকজনও তাদের ভোট দিতে কখনো উৎসাহিত করেন না।
রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ইসকান্দার আলী বলেন, একটি গুজব উঠেছিল, তাই তারা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। তবে এখন তা কেটে গেছে। আশা করছি এখন নারীরা আসবেন এবং ভোট দেবেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, এই নির্বাচনে নারী ভোটারসহ সবাই যাতে ভোট কেন্দ্রে যান, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এবং তার প্রতিনিধি হিসেবে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ আমাদের উপজেলা নির্বাচন অফিসার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। আমাদের সময়