ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ পাঁচ জনের সাময়িক বরখাস্ত চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) অভিভাবকদের পক্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
একইসঙ্গে ওই শিক্ষকদের বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যসব শাখা প্রধানদের প্রধান পদ থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে নোটিশে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ছাড়াও আরও যাদের বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে তারা হলেন, স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষক জিনাত আক্তার (ইতোমধ্যে বরখাস্ত) এবং শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তারি সুলতানা, ড. ফারহানা খানম ও মাহবুবুর রহমান মিঠু।
নোটিশে বলা হয়, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনও শিক্ষার্থীকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়া যায় না। অথচ অধ্যক্ষ সামান্য একটি মোবাইল ক্লাসে এনেছে, এই অপরাধে শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়ার হুমকি, তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া এবং তার বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে এনে অপমান করা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই অপমান সহ্য করতে না পেরে অরিত্রি অধিকারী নামে একজন ছাত্রী আত্মহত্যা করায় স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, সহকারী প্রধান শিক্ষক জিনাত আক্তার (ইতোমধ্যে বরখাস্ত) এবং শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তারি সুলতানা, ড. ফারহানা খানম ও মাহবুবুর রহমান মিঠুকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।
নোটিশ প্রাপ্তির পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে এ বিষয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।