সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস নিয়ন্ত্রন এবং সিকিউরিটি ডকুমেন্ট জালিয়াতি রোধে কেন সুনির্দিষ্ঠ বিধিবিধান প্রণয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবেনা মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, অর্থ সচিব,জনপ্রশাসন সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিল্প সচিব, শিক্ষ সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান আজিম দোলন, অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন এবং তানজিম আল ইসলাম।
পরে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস লিমিটেড বাদী হয়ে রীটটি দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, দেশে সিকিউরিটি ডকুমেন্টস ছাপার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ঠ কোন আইন বা নীতিমালা না থাকায় বিভিন্ন সিকিউরিটি ডকুমেন্টস যেমন ব্যাংকের চেক, বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট, মার্কশীটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দলিল জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে গ্রাহক এবং শিক্ষার্থীসহ দেশের নাগরিকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে । কিন্তু নির্দিষ্ট বিধিবিধান না থাকার কারণে এসব জাল জালিয়াতি রোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাচ্ছেনা।
রিটে সিকিউরিটি ডকুমেন্টস ছাপা এবং সিকিউরিটি প্রেস নিয়ন্ত্রনে নির্দিষ্ট বিধিবিধান প্রণয়ন না করা কেন বেআইনি এবং অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রনয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা মর্মে রুল চাওয়া হয়। আজ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।