সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ নিজ নামের আগে ‘অধ্যাপক’ ব্যবহার করায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ড. এস এম নাসিফ শামস্ প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন।
আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামালার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কোনও কলেজে কখনও অধ্যাপনা করেছেন বলে জানা নেই। তবে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য কর্মরত ছিলেন। আসামি অধ্যাপক না হয়েও বিভিন্ন জায়গায়, বই-পুস্তকে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হলফ নামায় ‘অধ্যাপক’ পদবি ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে সমাজের মানুষের কাছে ভোট পাওয়ার পাঁয়তারাসহ সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে আসছেন।
বাদী অভিযোগে বলেন, নিয়মিতভাবে ১৫ বছর কোনও কলেজে অধ্যাপনা না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না। আসামি বর্তমানে গণফোরামের নেতা ঐক্যফ্রন্ট হতে ধানের শীষে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন। এমপি পদে নির্বাচন করতে হলে তিন বছর আগে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। আসামি বিভিন্ন বই লিখেছেন। কোনও বইয়ে কোন কলেজে অধ্যাপনা করেছেন এমন কোনও পরিচয় সুনির্দিষ্ট নেই। আসামি অধ্যাপক না হয়ে অধ্যাপকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন এবং জনগণের কাছে ভুল তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। এর মাধ্যমে আসামি বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৪১৯/৪২০ ধারায় অপরাধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে পাবনার বেড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন