যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নিউ ইয়র্কের আদালত। একাধিক অভিযোগে এ দণ্ড পেলেন কোহেন। এর মধ্যে আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে অর্থ দিয়ে দুই নারীর মুখ বন্ধ করা, রাশিয়ায় প্রস্তাবিত ট্রাম্প টাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে কংগ্রেসকে মিথ্যা বলা এবং কর ফাঁকি দেওয়া। প্রতিটি অপরাধেই দোষ স্বীকার করেছেন কোহেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই এসব কাজ করেছেন বলে এর আগে দাবি করেছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নিউ ইয়র্ক আদালতেও সব অপকর্মের জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কোহেন।
আদালতের বিচারককে তিনি বলেন, “ট্রাম্প তাকে আলোর পথে চলার পরিবর্তে অন্ধকারের পথে ঠেলে দিয়েছেন।”
কোহেন আরো বলেন, ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ আনুগত্যটাই ছিল তার দুর্বলতা। আর ট্রাম্পের এসব নোংরা কাজ ধামাচাপা দেওয়াকেও তিনি তার কর্তব্য বলে মনে করেছেন।
নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক এবং বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের রাশিয়া তদন্তের আওতায় দু’টি ভিন্ন মামলায় কোহেনকে এ দণ্ড দিল আদালত।
নিউ ইয়র্কে ফেডারেল কৌঁসুলিদের মামলায় কোহেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস এবং সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগালকে অর্থ দিয়েছেন। অবৈধভাবে এ অর্থ দিয়ে কোহেন নির্বাচনী প্রচারের অর্থিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
ওদিকে, রবার্ট মুলারের মামলায় কোহেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি মস্কোয় সম্ভাব্য ট্রাম্প টাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে কংগ্রেসকে মিথ্যা বলেছিলেন। এ অভিযোগে একই সময়ে দুই মাসের সাজা খাটতে হবে কোহেনকে।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে মুলারের তদন্তে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে কোহেনেরই প্রথম জেল হল।