সুনামগঞ্জের শাল্লা ও দিরাই থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ সদস্যরা শাল্লার বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে চারজন গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত যুদ্ধাপরাধীরা হলেন, শাল্লা উপজেলার আটগাওঁ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে মো. জুবায়ের মণির (৭২),একই উপজেলার বাহার ইউনিয়নের ঘুংগিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে জাকির হোসেন (৭০),উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের শশারকান্দা গ্রামের বেঙ্গুর বেপারির ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (৭৩), এবং একই উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের মৃত ওয়াহিদ আলীর ছেলে মো. তোতা মিয়া (৭২)।
অপরদিকে একই সময় দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর বাজারে অভিযান চালিয়ে এক যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত মো. আব্দুল জলিল (৭২) উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা এই পাঁচজন ১৯৭১ সালে নিজ এলাকায় নিরীহ লোকজনসহ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে লুটপাঠ, হত্যা, যুবতী নারীদের ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরণের অপরাধ সংগঠিত করে। এই যুদ্ধাপরাধের দায়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুানালে একটি মামলা হয়। মামলা মিসকেস নং- ৫/১৮ ইং।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান জানান, পুলিশ সদস্যরা কৌশলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পাঁচ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে দেশে মা বোনেদের ইজ্জত লুট, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাঠসহ নানা অপরাধ করেছে পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।’