ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠানের (চিত্রনায়ক ফারুক) বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ তুলে রিট করেছেন একই আসনের ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। রিট আবেদনে ফারুকের প্রার্থিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
রিট আবেদনে ফারুকের মনোনয়ন স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ এবং আইনজীবী সাজেদ শামীম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহোর হোসেন সাজু।
পার্থের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আকবর হোসেন পাঠান স্বীকার করেছেন যে, তাঁর ঋণ পুনঃতফসিল হয়নি। আরপিওর বিধান অনুসারে ঋণখেলাপি ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নেই। তাই ফারুকের প্রার্থিতা স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়েছে। আদালত কাল শুনানির জন্য রেখেছেন।
এর আগে, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গতকাল সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রিটটি দায়ের করা হয়। পরে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ঋণ খেলাপি। তার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এটা কীভাবে সম্ভব? যেখানে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতিষ্ঠিত নীতি হলো ঋণ খেলাপি হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকায় নাম থাকলে তার মনোনয়ন বাতিল হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ প্রার্থীর কোনো হলফনামা নেই। এটা গায়েব করল কে?
রিট আবেদন থেকে জানা গেছে, আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রাজধানীর মতিঝিলের স্থানীয় শাখা থেকে তিন প্রতিষ্ঠানটির নামে ৫ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তার একক ঋণ হিসাবে সোনালী ব্যাংকের ৩৬ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়নি। হলফনামার ঘরে একক ঋণের বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করেননি। এ সংক্রান্ত কলামে তিনি ‘প্রযোজ্য নয়’ বলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু পাশের কলাম বা ঘরে গৃহীত ঋণ পুনঃতফসিল না হওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘২৭-০৬-২০১৩ হইতে ৩১-০৩-২০১৪ বহুবার আবেদন করেও ব্যাংক কর্তৃক আবেদন গৃহীত হয়নি কেন জানতে পারলাম না।’