জামায়াতের ২৫ নেতার নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের ২২ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও তিনজন জামায়াত নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
আজ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) এ আবেদন করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের উপর শুনানি হবে।
তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাদপুরীসহ চারজন হাইকোর্টে এ আবেদন করেন। আজ এ সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনটি আদালতে পেশ করেন রিট কারীগণের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এর আগে, নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে করা রিটকারীদের আবেদন তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরে গত রোববার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন জামায়াত নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহনের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেয়। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সেদিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন পর্যালোচনা করে দেখেছে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের আইনগতভাবে বাতিলের সুযোগ ইসির নেই। কারণ ২৫ জনের প্রার্থিতা রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ করেছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ ছিল। কিন্তু কেউ তখন নির্বাচন কমিশনে আপিল করেননি বিধায় নির্বাচন কমিশন মনে করে জামায়াতের প্রার্থীদের নির্বাচনে আইনগত ভিত্তি আছে।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আজ এ আবেদন করা হয়।
প্রার্থীরা হলেন, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫- আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।
এছাড়াও স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী হলেন, পাবনা-১ ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, চট্টগ্রাম-১৬ জহিরুল ইসলাম এবং চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল।