নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় সাত আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবমিতা গুহ এই আদেশ দেন।
রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলো— মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন, মূল হোতা হাসান আলী রুলু, প্রধান আসামি সোহেল, স্বপন, বাদশা আলম ওরফে বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু, বেচু ও জসিম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল ২ নম্বর আমলি আদালতে এজাহারভুক্ত সাত আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড চাইলে, আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন রাতে (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলার ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর মধ্য বাগ্যা গ্রামে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, আসামিদের সাত জনের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবমিতা গুহ তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জেলা পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনসহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ফেনী জেলার সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রাম থেকে এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন (বাদশা আালম ওরফে বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু, স্বপন, বেচু, সোহেল ও সালাউদ্দিন) এবং তদন্তে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে (মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন, মূল হোতা হাসান আলী রুলু ও জসিম) গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া, অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।