জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনে চট্টগ্রাম থেকে জায়গা পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন ডজনখানেক নারী নেত্রী। এরমধ্যে রয়েছেন তিনজন আইনজীবী। তারা হলেন – চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার বেগম, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত এবং সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের পর এরই মধ্যে তাদের শপথও হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী, এর ৩০ দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, এরই মধ্যে দল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন সংরক্ষিত এমপি পদে আগ্রহীরা। পাশাপাশি তাদের অনেকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করছেন। প্রায় প্রতিদিনই গণভবনে ভিড় করছেন তারা।
তবে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, গত সংসদগুলোতে সংরক্ষিত নারী এমপি পদে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা এবার দলের মনোনয়ন পাবেন না। সেই দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন নতুনরাই।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মার্চের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। যে কোনো সময়ে সংরক্ষিত আসনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, আইন প্রণয়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে সংবিধানে বিশেষ কোটা চালু করা হয়। সেই থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ থাকছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ আরো ২৫ বছর নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বহাল রাখতে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে।
২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৫টি নারী আসন ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এর আগে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ছিল ৩০টি। পরে নবম সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন করা হয়।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জনকে সংসদ সদস্য পদ দেওয়া হয়। তারা হলেন- প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান, সাবেক চসিক কাউন্সিলর সাবিহা মুছা এবং রাঙামাটির নারী নেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু।