ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের পুলিশ এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়েনি। চুরির নানা অভিযোগ তারা হরহামেশাই পায়। কিন্তু তাই বলে মন চুরির অভিযোগ! পুলিশ একেবারে থ!
আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি নাগপুরের একটি পুলিশ স্টেশনে অদ্ভুত এই অভিযোগ নিয়ে হাজির হন এক যুবক। অভিযোগ শুনে বিপাকে পড়ে পুলিশ।
নাগপুরের পুলিশ কমিশনার ভূষণ কুমার উপাধ্যায় গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে এসে এই ঘটনা সবার কাছে খুলে বলেন। তবে তিনি অভিযোগকারী যুবকের নাম-পরিচয় জানাননি। এ ছাড়া যে তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তাঁর পরিচয়ও প্রকাশ করেননি নাগপুরের পুলিশ কমিশনার।
খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি নাগপুরের একটি পুলিশ স্টেশনে এক যুবক হাজির হন। তিনি এক তরুণীর বিরুদ্ধে থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চান। যুবকের অভিযোগের বিষয়বস্তু—একটি মেয়ে তাঁর (যুবক) মন চুরি করেছে। চুরি যাওয়া মন পুলিশের সহায়তায় ফেরত পেতে চান তিনি।
যুবকের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে পুলিশ ‘থ’ বনে যায়। অভিযোগের বিষয়ে কী করবেন, ভেবে পান না পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। অবশেষে তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সব শুনে অভিযোগকারী যুবকের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন। পরে তাঁরা যুবককে জানিয়ে দেন, ভারতের আইনে মন চুরির অভিযোগের বিষয়ে কোনো ধারা নেই।
পুলিশ ওই যুবককে জানায়, তাঁর সমস্যার কোনো সমাধান তাদের কাছে নেই। তাই যুবককে থানা থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
নাগপুরের পুলিশ কমিশনার পরে সাংবাদিকদের কাছে মজা করে বলেন, অভিযোগ পেলে চুরি যাওয়া বস্তু উদ্ধার করে তাঁরা ফেরত দিতে পারেন। কিন্তু কখনো কখনো তাঁরা এমন সব অভিযোগ পান, যার কোনো সমাধান তাঁদের কাছে নেই।