ভারতের কেরালার শবরীমালা মন্দির

ভারতে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করা দুই নারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ

ভারতের কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস রচনা করা দুই নারী নিরাপত্তা চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার তাদের আবেদনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মন্দিরে প্রবেশ করা কনকা দুর্গা এবং আম্মিনির কেউ এখনও ৫০-এর ঘরে পা দেননি। উভয়ের আনুমানিক বয়স ৪০-এর ঘরে। আগে এই মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। কয়েক মাস আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকারের রায় দেন। ওই রায়ের পর প্রথমবারের মতো সেখানে কোনও ঋতুমতী নারী হিসেবে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়েন তারা। নিরাপত্তাজনিত কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কেরালা সরকারের ঠিক করে দেওয়া একটি জায়গায় রয়েছেন তারা। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে শাশুড়ির হাতে আক্রান্ত হন কনকা দুর্গা।

পুলিশ জানিয়েছে, ২ জানুয়ারি ভোরে পাহাড়ঘেরা মন্দিরটিতে প্রবেশ করেন দুই নারী। ভোর পৌনে ৪টা থেকে পাম্বা বেস ক্যাম্প থেকে পাহাড়ে উঠতে শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে পৌঁছে যান মন্দিরে। তাদের প্রবেশের পরপরই ‘শুদ্ধিকরণের’ জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হোয়াটস অ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো পোশাক পরে মন্দিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দুই নারী। তাদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। আয়াপ্পা ধর্ম সেনার নেতা রাহুল ঈশ্বর বলেন, আমার মনে হয় না ব্যাপারটা সত্য। পুরো ব্যাপারটাই খুব সন্তর্পণে হয়েছে। জানা থাকলে আমরা ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতাম’।

এই দুই নারী এর আগে গত ডিসেম্বরেও মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু বাধা পাওয়ায় তাদের ফিরে আসতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর থেকে অনেকেই মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। যদিও বার বার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত এই দুই নারী তাদের চেষ্টায় সফলতা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এক ঐতিহাসিক রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সব বয়সী নারীরাই সবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। সূত্র: এনডিটিভি।